সীতাকুন্ডের কিছু বিখ্যাত ভ্রমন স্থান-চট্টগ্রাম
আপনি যদি প্রকৃতির সাথে নিজ সত্ত্বাকে নিবেদিত প্রাণ হিসেবে বিলয়ে দিতে চান, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড ভ্রমন হবে আপনার জন্য পারফেক্ট একটা অপশন! কি নেই এখানে? পাহাড়, সী বীচ,ঝর্না,বিশাল বিশাল পাথর,ভয়ংকর গা ঝিম ধরানো ট্রেইল আর ঝিরি পথ! সীতাকুন্ড ভ্রমনের একটা সুবিধা হলো আপনি খুব কম খরচে অর্থাৎ বাজেট ফ্রেন্ডলি ট্যুর দিতে পারবেন। যারা আমরা স্টুডেন্ট আছি বা টাকার জন্য ঘুড়তে পারি না তারা সীতাকুন্ডকে অনায়াসে বেছে নিতে পারেন।
প্রথমেই এই সীতাকুন্ড ভ্রমনকে আমি ২ ভাগে ভাগ করবো আপনাদের সুবিধার জন্য। প্রথম পার্ট হবে রিলাক্স ট্যুর যারা পছন্দ করেন তাদের জন্য আর দ্বিতীয় পার্ট যারা এডভেঞ্চারপ্রেমী তাদের জন্য।
কি কি দেখবো সীতাকুন্ড ভ্রমনে-
আগেই বলেছি সীতাকুন্ড এমন একটি জায়গা যেখানে আপনি নিতে পারবেন পাহাড়ের ঘ্রান, শুনতে পাবেন পাহাড় বেয়ে বেয়ে পড়া ঝর্নার শব্দ,সমুদ্রের গর্জন, দেখতে পাবেন সবুজে ঘেরা পাহাড়ি প্রকৃতি। সীতাকুন্ডের ভ্রমনলিস্টে যে জায়গাগুলো ঘুড়তে পারেন-
২)সীতাকুন্ড ইকো পার্ক
৩)বাড়ৈয়াঢালা জাতীয় উদ্যান
৩)গুলিয়াখালী সী বীচ
৪)বাশবাড়িয়া সী বীচ
৫)কুমিরা ঘাট
৬)মহামায়া লেক
কিভাবে যাবেন সীতাকুন্ডে-
বিস্তারিত আলোচনায় যাওয়ার আগে কিভাবে যাবেন একটু বলে নেই-
৪ টি উপায়ে আপনি যেতে পারবেন, আপনার কাছে যেভাবে সুবিধা হয় সেভাবেই যেতে পারবেন-
১। ঢাকার সায়দাবাদ অথবা কলাবাগান থেকে এনা বা হানিফ ছেড়ে যায়। আপনি ডিরেক্ট চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে নামতে পারবেন। ভাড়া – ৪৮০ টাকা (জনপ্রতি)
২। যাদের বাজেট একটু কম তারা স্টার লাইন/এনা/আরও কিছু বাস আছে যেগুলো ঢাকা থেকে ফেনী যায়,ওগুলোতে যেতে পারেন। ঢাকার ফকিরাপুল থেকে বাসগুলো ছেড়ে যায়। ভাড়া- ২৫০-২৭০ টাকা ,ফেনীর মহিপাল নেমে যাবেন,সময় লাগবে ৪-৫ ঘন্টা। ফেনীর মহিপাল নেমে সীতাকুন্দ বাজারে যাবে এমন বাসে উঠে পড়বেন ,ভাড়া জনপ্রতি ৫০-৬০ টাকা। এবার সীতাকুন্ড বাজার থেকে আপনি যে কোনো গন্তব্যে সহজেই লেগুনা/সিএনজি/বাস যোগে যেতে পারবেন।
৩। যারা ট্রেনে যেতে চান তারা ঢাকার কমলাপুর থেকে চিটাগংগামী আন্তঃনগর মহানগর/তূর্না এক্সপ্রেস ট্রেনে চড়ে চেতে পারেন চিটাগং স্টেশন।
মহানগর ট্রেন ছেড়ে যায় রাত ৯ঃ২০ মিনিটে চট্টগ্রাম স্টেশনে পৌছায় ভোর ৪ঃ৫০ মিনিটে।
তূর্না এক্সপ্রেস ছেড়ে জায় রাত ১১.৩০ মিনিটে এবং চট্টগ্রাম পৌছায় ভোর ৬ঃ২০ মিনিটে।
ভাড়া জনপ্রতি ৩৫০ টাকা (শোভন চেয়ার) থেকে ১২০০ টাকা(এসি কেবিন) তারপর সেখান থেকে সীতাকুন্ড চলে আসতে পারেন বাসে করে,বাস ভাড়া পড়বে ৪০-৫০ টাকা। ট্রেনের টিকিট অনলাইনে কাটুন
৪। যারা আরও কম খরচে যেতে চান তাদের জন্য একমাত্র আশা ভরসা মেইল ট্রেন,যার ভাড়া পড়বে জনপ্রতি ১১০ টাকা,এই ট্রেন প্রতিদিন রাত ১০.৩০(সময়ের তারতম্য হতে পারে যেহেতু এটি সরকারী ট্রেন) টায় ঢাকার কমলাপুর থেকে ছেড়ে যায় এবং পৌছায় সকাল ৬ টা থেকে ৭ টার মধ্যে। এটিই একমাত্র ট্রেন বা মাধ্যম যেটি সীতাকুন্ডে সরাসরি যায়। যাদের বাজেট একদমই কম তারা চাইলে এভাবে যেতে পারেন তবে সেক্ষেত্রে কিছু ব্যপার আছে যা নিয়ে পরে আলোচনা করবো ।
চট্টগ্রাম থেকে কিভাবে যাবেন- যারা চট্টগ্রাম থেকে যেতে চাচ্ছেন তারা বাসে করে খুব সহজেই সীতাকুন্ড আসতে পারেন, ভাড়া জনপ্রতি ৪০-৫০ টাকা।
***বাংলাদেশের বাইরে থেকে কোনো পর্যটক যদি আসতে চায় তাহলে প্রথমেই তাকে নামতে হবে এয়ারপোর্টে, তারপর যদি বাসে যেতে চান তাহলে এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে সরাসরি সিএনজি/ক্যাব নিয়ে আসতে হবে কলাবাগান বা সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল আর যদি ট্রেনে যেতে চান সেক্ষেত্রে কমলাপুর যেতে হবে ,কমলাপুর থেকে রাতের ট্রেনে চট্টগ্রাম তারপর বাসে সীতাকুন্ড। এক্ষেত্রে বাসযোগে ভ্রমনই সহজ,সময়সাপেক্ষ এবং কম কষ্টকর।
এইছিলো আসা যাওয়ার উপায় নিয়ে বিস্তারিত কথাবার্তা এবার আসি থাকার ব্যবস্থা নিয়ে।
সীতাকুন্ড কোথায় থাকবেন-
সীতাকুন্ডের যেখানেই ঘুরতে যান না কেন থাকতে হলে আপনাকে চলে আসতে হবে সীতাকুন্ড বাজারে। এখানে বহু হোটেল রয়েছে নিরাপদে এবং কম খরচে রাত থাকার জন্য। যেমন হোটেল সৌদিয়া,হোটেল নিউ সৌদিয়া,হোটেল ৯৯, হোটেল জলসা,হোটেল সাইমুন,হোটেল সন্দীপ ইত্যাদি। সীজনভেদে এসব হোটেলের ভাড়ার তারতম্য হয়ে থাকে। এসব হোটেলে সিংগেল থেকে ডাবল,কাপল যেকোনোধরনের রুম পেয়ে যাবেন।ভাড়া পড়বে ৩০০-১২০০/২০০০। শুক্র-শনি বার ছাড়া গেলে আপনি খুবই রিজনেবলে থাকতে পারবেন। যোগাযোগ- ০১৯৯১৭৮৭৯৭৯ (হোটেল সৌদিয়া)
এবার সীতাকুন্ড ভ্রমন স্পটগুলো নিয়ে স্বচ্ছ ধারনা দেয়ার চেষ্টা করবো-
সীতাকুন্ড ইকো পার্ক ও বোটানিক্যাল গার্ডেন-
১৯৯৮ সালে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলায় চন্দ্রনাথ পাহাড়ের পাদদেশে ৮০৮.০০ হেক্টর জমির ওপর গড়ে ওঠে ইকো পার্ক এবং বোটানিক্যাল গার্ডেন। প্রথমে একত্রিত অবস্থায় থাকলেও ১৯৯৬ সালে বোটানিক্যাল গার্ডেন এবং ইকো পার্ক বিভক্ত হয়ে যায়। বিরল প্রজাতির গাছপালা, জীবজন্তু,ছোট বড় কৃত্তিম লেক, ঝিরি, ঝর্নায় পরিপূর্ণ এই পার্কটিতে বন বিভাগের চেষ্টায় গড়ে উঠেছে পর্যটকদের বিনোদনের কেন্দ্রবিন্দু আর হাজারও প্রানীর অভয়ারণ্য। সীতাকুন্ড বাসস্ট্যান্ড বা সীতাকুন্ড বাজার থেকে লেগুনা/বাসে করে ইকোপার্কের গেইটে নেমে হাটা দিতে পারেন অথবা সিএনজি রিজার্ভ করেও পুরোটা পার্ক ঘুরে দেখতে পারেন যদি সুপ্তধারা এনং সহস্রধারা ট্রেক করার ইচ্ছা না থাকে তাহলে হেটেই পার্কের সৌন্দর্য দেখতে পারেন অথবা পার্কের গেইট পর্যন্ত সিএনজিতে এসে বাকি পথটা হাটতে পাড়েন। সিএনজি ভাড়া গেইট পর্যন্ত পার পারসন ১০-২০ টাকা আর পুরো পার্ক ঘুড়ার উদ্দেশ্যে রিজার্ভ করলে ৫00-৬০০ টাকার মধ্যেই পেয়ে যাবেন
মহামায়া লেক-
সীতাকুন্ডের জনপ্রিয় জায়গাগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে মহামায়া লেক। লেকের অমায়িক সৌন্দর্য আর চারপাশের মনোমুগ্ধকর পরিবেশে আপনার ক্লান্তিকর জীবনে এনে দিবে স্বস্তির চোয়া।সীতাকুন্ড বাজার থেকে লেগুনা/বাসে মহামায়া মেইন গেইট আসতে ভাড়া ৪০-৫০ টাকা নিবে তারপর মেইন গেট থেকে সি এন জি ১০-১৫ টাকার মত। প্রবেশ টিকিট ১০ টাকা। বাইক নিয়ে আসলেও চিন্তার কারন নেই, পার্ক করতে পারবেন। মহামায়া লেকে কায়াকিং করতে পারবেন চাইলে। পাহাড় আর লেকের নীল পানিতে কায়াকিং করার সুযোগটা কেও মিস করবেন না। কায়াকিং করতে না চাইলে বোটেও ঘুড়ে দেখতে পারেন এই লেকের সৌন্দর্য।প্রতি বোটের ভাড়া ২০০-৩০০ টাকা, এক বোটে জনপ্রতি দুই জন কায়াকিং করতে পারবেন। সকাল বিকাল যেকোনো সময়েই করতে পারবেন।কায়াকিং শেষ করে বাপাশের রাস্তা ধরে ওপরের দিক উঠলে অসাধারন ভিউ পাওয়া যায়। মহামায়া লেকে রাতে ক্যাম্প করেও থাকা যায় এক্ষেত্রে কমপক্ষে ৪ জন হতে হবে। রাতে থাকার জন্য তাবু,রাতের খাবার,বারবিকিউ,সকালের নাস্তা এগুলোর সুব্যবস্থাও আছে এই প্যাকেজে, টোটাল প্যাকেজের মূল্য ৬০০ টাকা। আগে থেকে বুকিং এর জন্য মহামায়া কায়াকিং এ যোগাযোগ করতে পাড়েন।
গুলিয়াখালী সী বীচ-
সীতাকুন্ড বাজার থেকে সিএনজি করে যেতে পারবেন গুলিয়াখালী বীচে।রিজার্ভ ভাড়া- ১০-২০ টাকার মত। আর একজনের জন্য ভাড়া ৩০ টাকা। সিএন জি থেকে নেমে একটু সামনেই আগালেই বোট পেয়ে যাবেন, ভাড়া জনপ্রতি ৫০/৬০ টাকা। নৌকা দিয়ে বীচের সৌন্দর্য যে কি অমায়িক তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না।আমরা বিকালের দিক গিয়েছিলাম গুলিয়াখালিতে। আকাশের যে এত রঙ হতে পারে,আমাদের জানা ছিলো না। নৌকা বীচের কাছে গিয়ে আমাদের নামিয়ে দিলো,দেখে মনে হচ্ছিলো পুরোটা বীচ যেন সবুজ গালিচা দিয়ে মোড়ানো। সবাই যে যার মত ঘাসের ওপর গা এলিয়ে দিয়ে আকাশ দেখতে দেখতে কখন সন্ধ্যা হয়ে গেলো টেরই পাইনি।মনে মনে বলছিলাম এটাই তো জীবন,আহ!!!! এই বীচের অন্যতম একটা বৈশিষ্ঠ হলো সবুজ ঘাস আর তার মাঝে পানি,তবে গুলিয়াখালী বৃষ্টির সীজনে গেলে সবুজ ঘাসগুলোর ওপর পানি থাকে তাই ওইভাবে সৌন্দর্য বোঝা যায়না। শীত আর বর্ষার মাঝামাঝি হলে দুটোই উপভোগ করতে পারবেন।সন্ধ্যার পরপর আমরা বেশীক্ষন থাকিনি,জায়গাটা একদম জনমানবশূন্য ছিলো আর দ্বীপের মত তাই নিরাপদ মনে হয়নি।
কুমিরা ঘাঁট-
ঢাকা থেকে কুমিরা ঘাট আসতে চাইলে চট্টগ্রামের বাসে উঠে কুমিরা ঘাটঘর নেমে রিকশা/সিএন জিতে করে কুমিরা ঘাঁট চলে আসতে পারেন, ঢাকা টু কুমিরা ঘাটঘর ৪৮০ টাকা,ঘাটঘর থেকে কুমিরা ঘাঁট ভাড়া ৪০-৫০ টাকা চট্টগ্রাম শহর থেকে যারা যাবেন তারা লোকাল বাসে করে বা সিটি গেইট থেকে মাইক্রো রিজার্ভ করেও আসতে পারবেন।মাইক্রোতে পার পারসন ১০০-১৫০ আর রিজার্ভ ৬০০-৮০০। লোকাল বাসে ৩০-৫০ টাকা পড়বে আবার চাইলে ভাটিয়ারি থেকেও যেতে পারবেন। কুমিরা ঘাটের জেটি ঘাঁট কয়েকটা আছে।পড়ন্ত বিকেলে ঘাটধরে হেটে বেড়াতে খুবই থেকে স্পিড বোটে ঘুড়তে পারবেন ,বোট ভাড়া ৫০ টাকা আর কেও যদি সন্দীপ যেতে চান সেক্ষেত্রে ভাড়া ২৫০ টাকা। কুমিরা থেকে কিভাবে সন্দীপ যাবেন তার ডিটেইলস নিয়ে কথা হবে আরেকদিন।
বাড়ৈয়াঢালা জাতীয় উদ্যান-
নিড়িবিলি পরিবেশে আরাম আয়েশ করে ফ্যামিলি ট্রিপের জন্য চলে যেতে পারেন সীতাকুন্ডের বাড়ৈয়াঢালা জাতীয় উদ্যানে। এটি সংরক্ষিত বনাঞ্চল হওয়ার কারনে বন বিভাগ থেকে কিছু নির্দেশনা দেয়া আছে।যারা ঘুরতে যাবেন তারা এই ব্যপারগুলো মাথায় রাখবেন। এই উদ্যান পুরোটা হেটে দেখা সম্ভব না,চাইলে সিএন জি এইজার্ভ করে নিতে পারেন। উদ্যানের ভেতরে একটা ট্রেইল আছে যেটা অতটা সুপরিচিত নয়। বন্ধুদের সাথে গেলে এই রেঞ্জের ঝর্নাগুলো দেখে আসতে পারেন। ঢাকা থেকে বাসে সীতাকুন্ডের বাড়ৈয়াঢালা উদ্যানের রাস্তার মুখে নামতে পারেন তারপর কিছুদুর হেটে যেতে হয়।আবার সীতাকুন্ড বাজার থেকে লেগুনা/সিএন জি করেও চলে আসতে পারেন এই উদ্যান।
বাশবাড়িয়া সী বীচ –
বাশবাড়িয়া সী বীচের সবচেয়ে আকর্ষনীয় জিনিস হলো জেটিঘাট বা লোহার ব্রিজ, যা প্রায় আধা কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত।ব্রিজ ধরে সমুদ্রের অনেকটুকু পথ পায়ে হেটে যাওয়া যায়,এবং এই অনুভূতিটা অসাধারন।বাংলাদেশের আর কোনো সমুদ্র সৈকতে এমন ব্রিজ দেখা যায় না। তাই বাশবাড়িয়া বীচ পর্যটকদের কাছে বেশ সমাদৃত।চাইলে স্পিডবোটে করে ঘুরে দেখতে পারেন।পড়ন্ত বিকেলে ঝাউবন থেকে উপভোগ করতে পারেন সূর্যোদয়।এখান থেকে সন্দীপও যাওয়া যায় বোটেচেপে।
ঢাকা থেকে সরাসরি বাসে এসে নামতে পারেন চট্টগ্রামের অলংকার মোড়,সেখান থেকে বাসে করে চলে যাবেন বাশবাড়িয়া বাজার্ভাড়া ৩০-৪০ টাকা নিবে,বাজার থেকে সিএন জি/অটো বাশবাড়িয়া জেটিখাটে নামিয়ে দিবে,ভাড়া ২০ টাকা জনপ্রতি। সীতাকুন্ড বাজার থেকে লেগুনা বাশবাড়িয়া বীচে আসে,ভাড়া জনপ্রতি ১৫ টাকা।চাইলে অলংকার মোড় থেকে মাইক্রো রিজার্ভ করে সরাসরি জেটি ঘাটে চলে আসতে পারেন,সেক্ষেত্রে ভাড়া পড়বে ৩০০ টাকার আশপাশ। গাড়ি পার্কিং এর সুব্যবস্থা আছে এখানে।চাইলে নিজেরা রান্নাবান্না করেও দুপুরে খেতে পারেন ।
সীতাকুন্ড ভ্রমনে কিছু টিপস এবং সতর্কতা-
১) সীতাকুন্ডের হোটেল বুকিং এর ক্ষেত্রে আগে বুকিং দেয়ার প্রয়োজন নেই, নিজে যেয়ে যাচাই,বাছাই করে হোটেল সিলেক্ট করুন।
২)বন্ধের দিনগুলো ছাড়া সীতাকুন্ড গেলে থাকা,খাওয়া,গাইডখরচ সবকিছুতেই ছাড় পাওয়া যায় এবং পর্যটকের পরিমানও কম থাকে।
৩)যেখানেই যাবেন একটু দামাদামি করে নেবেন
৪) স্টুডেন্ট আইডি কার্ড সাথে রাখতে পারেন, কায়াকিং এর ক্ষেত্রে অফার পাবেন।
৫)যেখানে সেখানে ময়লা ফেলবেন না,পরিবেশ নষ্ট করবেন না প্লিজ।